ছবি: গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ (আনাদলু এজেন্সি) |
গাজা: ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি গঠিত হয়। চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। চুক্তির মাধ্যমে গাজা দখলমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি বন্দি বিনিময়, সেনা প্রত্যাহার এবং পুনর্গঠনের ব্যবস্থা করা হবে।
চুক্তির প্রধান ধাপসমূহ:
প্রথম ধাপ (মানবিক পদক্ষেপ):
- হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি নারী, শিশু ও বয়স্ক বন্দি মুক্তি পাবে।
- ইসরাইলের জেলে থাকা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
- ৮ অক্টোবর ২০২৪-এর পর গ্রেফতার হওয়া ১,০০০ গাজাবাসী মুক্তি পাবে।
- ইসরাইলি বাহিনী জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে এবং সীমানার ৭০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবে না।
- উত্তর গাজার বেসামরিক জনগণ নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পাবে।
- প্রতিদিন ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
- রাফাহ বর্ডার ক্রসিং ৭ দিনের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে।
- ইসরাইল ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ৫০ দিনের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার করবে।
দ্বিতীয় ধাপ (বিস্তারিত আলোচনা):
- ইসরাইল প্রথম ধাপের সব শর্ত মেনে চললে হামাস তাদের হাতে থাকা সব বন্দি মুক্তি দেবে।
- ইসরাইল আরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
- গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে।
তৃতীয় ধাপ (পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা):
- বন্দিদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে।
- আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন এবং অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হবে।
চুক্তির প্রত্যাশা
এই চুক্তির মাধ্যমে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠন ও মানবিক সহায়তার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
- সরোয়ার আলম (আঙ্কারা, তুরস্ক)