গত ৮ নভেম্বর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পূর্ণ করেছে। এই সময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ও সাফল্য অর্জন করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা
- সারাদেশে ৮৭২ জন শহীদ ও ১৯,৯৩১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
- আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ‘সমন্বয় সেল’ ও বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
- চোখের গুরুতর আহতদের জন্য নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড এবং জার্মানি থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
- গুরুতর আহতদের জন্য বিদেশে চিকিৎসারও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা পর্যায়ের চিকিৎসা
- জেলা পর্যায়ে আহতদের ঢাকায় রেফার করে বিনামূল্যে এম্বুল্যান্স সুবিধা দেয়া হয়েছে।
- গুরুতর আহতদের ঢাকার নিটোর হাসপাতালে কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
বিদেশী সহায়তা এবং বিশেষজ্ঞ প্যানেল
- চীন, নেপাল ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিশেষজ্ঞ টিম আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছে।
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সহায়তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে কাজ করছে।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা
- বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন ও বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মচারীর এক দিনের মূল বেতন বন্যার্তদের জন্য দান করা হয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি
- চলতি বছর ৬৩,১৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং ৩১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
- ডেঙ্গু মোকাবিলায় দেশের সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার, পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে একটি দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় জরিপ কার্যক্রমের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ তিন মাসের স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগগুলো পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।