খুলনায় আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হয়েছে একুশে বইমেলা। বিকেলে বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বই ছাড়া জ্ঞান অর্জন করা যায় না। মানুষের নিত্য সঙ্গী হলো বই। বই সবসময় বন্ধুর মতো কাজ করে। বইপড়া ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। আর বইমেলা হচ্ছে বাঙ্গালীর প্রাণের মেলা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বইয়ের প্রতি সকলকে আকৃষ্ট করতে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি আরও বলেন, একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের গৌরব। দেশের যত আন্দোলন তার অনুপ্রেরণা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে। বেশি করে বই পড়তে মেয়র সকলের প্রতি আহবান জানান।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন- মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডের হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ারস এন্ড সাসটেইনেবিলিটি’র শরীফ শাহ জামাল রাজ।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন- খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে খুলনা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মোঃ আলমগীর বক্তব্য প্রদান করেন। বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বই মেলায় প্রকাশনা সংস্থা, বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের একশত স্টল রয়েছে। মাসব্যাপী বইমেলা সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা এবং অন্যান্য দিনগুলোতে বিকেল তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সকলের জন্য খোলা থাকবে।
প্রতিদিন বিকালে আলোচনা সভা, সেমিনার, প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বইমেলা উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য থাকছে উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, সঙ্গীত ও বইপাঠ প্রতিযোগিতা। এছাড়া বইমেলা উপলক্ষ্যে সকল বইয়ের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়ে ক্রেতারা বই কিনতে পারবেন।
- সংগৃহিত
- সংগৃহিত